OrdinaryITPostAd

শিশুর সর্দি -কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিকার ও সমাধান

শিশুর সর্দি -কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা 

বিসমিল্লাহির রাহামানির আশা করি সবাই ভালো আছেন ।আরনিং টেকি বাংলা ব্লগএ        সবাইকে আন্তরিক শুভেছা ও অভিনন্দন ।

                                                                                   



চারিদিকে এখন শিতের আমেজ চলে আসছে ,আর এই শীতকালে বাচ্চাদের নানা ধরনের রোগ দেখা দেয়,শীতকালে বাচ্চাদের কমন কিছু রোগ হয়ে থাকে সেটা জ্বর,সর্দি -কাশি।

শীতের প্রথদিক থেকেই ঘরে ঘরে ঠাণ্ডাজনিত রোগ জ্বর,সর্দি-কাশির সমস্যা শুরু হয়।আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে এবং শিশুদের রোগ প্রতিরোদ ক্ষমতা কম থাকার কারনে এই সমাই খুব দুরতই জ্বর,সর্দি -কাশিতে আক্রান্ত হয়ে  থাকে। 

অনেক শিশু এই মসুমে বারবার ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রন্ত হয়ে থাকে।কারে কারে খেত্রে সর্দি বেশি হলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় ।

সর্দি হলেই আমারা নিউমোনিয়া ভেবে শিশুকে অহেতুক শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানে শুরু করি।অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকে শিশুর ক্ষতি হতে পারে।সর্দি -কাশি দেখা দিলে প্রাথমিক অবস্থাতে কড়া কড়া অ্যান্টিবায়োটিক না দিয়ে সহজ কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করতে পারেন।

প্রাথমিক অবস্থাতেই ঘরেই শিশুর বারতি যত্ন নিলে এবং সতর্কতা মেনে চললে বড় কোনে ধরনের রোগে আক্রন্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমানে যায়।

শিশুর সর্দি -কাশি থেকেমুক্তি দিতে যেসব ঘরোয়া চিকিৎসা মেনে চলবেন ...

  • শিশুর শরীরকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রামের ব্যাবস্তা করুন ।
  • হালকা গরম পানি দিয়ে শরীর স্পঞ্জ করুন।
  • বুকের দুধ ও তরল পানীয় পান করান ।
  • ১ বছরের বেশি বসয়সী বাচ্চাদের সুপ খাওয়ান।
  • বছরের বেশি বসয়সী বাচ্চাদের ১থেকে ২ গ্লাস কমলালেবুর রস পান করান ।
  • গলা ব্যাথা থাকলে লবন মিশিয়ে গগল করান,১ বছরের বাচ্চাদের এটা করানে যাবেনা।
  • কাশি হলে গরম সুপ খাওয়াতে পারেন ,এতে করে কাশি কমতে পারে। গলা ব্যাথা কমতে পারে।
  • আদা তুলশি পাতা তেঁতে করে খাওয়াতে পারেন
  • হলুদ মেশানে গরম দুধ শিশুকে খাওয়ানে যেতে পারে হলুদ সংক্রামণ কমাতে সাহায্য করে।

শিশুর সর্দি -কাশির সময় যেসব বিষয়ে খেয়াল রাকবেন

  • শিশুকে আলে-বাতাসপূর্ণ ঘড়ে রাখুন।
  • খেয়াল রাকবেন যেন শিশুর শ্বাস নিতে যেন কষ্ট না হয় ।
  • সব সময় শিশুর নাক পরিস্কার রাখুন।
  • পুষ্টি সম্পূর্ণ খাবার খাওয়ানের চেষ্টা করুন।
  • শিশু পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমাচ্চে কিনা লক্ষ্য রাকতে হবে।
  • ঘড়ে এই সময় কোন পেষা পাণি রাকবেন না ।
  • শিশুকে পরিস্কার পরিছন্ন রাখার চেষ্টা করুন। 

শিশুর সর্দি -কাশির সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে 

  • শিশুকে প্রতিদিন কিছুটা সময় রোদে রাখুন,এতে শিশুর শরিলে রোদে ভিটামিন ডি ঢুকবে এবং শিশুর রোগ প্রতিরোদ ক্ষমতা বাড়বে।
  • এই সময় ঠাণ্ডাপানীয় এবংঠাণ্ডা জাতীয় খাবার দিবেন না । 
  • ধুলে বালি থেকে সতর্ক থাকুন।
  • ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ান।
  • শরীল ঘেমে গেলে মুছে দিন ।

ডাক্তারি পরামর্শ 

  • শিশুর যদি ৩ দিনের বেসি সময় ধরে সর্দি -কাশি থাকে শ্বাসকষ্ট জ্বর থাকে তবে দুরুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • ঔষদ ব্যাবহারের ক্ষেত্রে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করা উচিত।
ঘরোয়া প্রতিকার অনেক সময় কাজে লাগতে পারে,তবে শিশুর অবস্থার অবনতি হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই সর্বতম ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরনিং টেকি ব্লগে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪