গর্ভাবস্থায় মোনাস ১০খাওয়া যাবে কি/can you eat monas 10 during pregnacy
গর্ভাবস্থায় মোনাস ১০ খাওয়া যাবে কি
বিসমিল্লাহির রাহামানির রাহিম আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আরনিং টেকি বাংলা ব্লগে সবাইকে শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন।
বাংলাদেশ ৬ ঋতুর দেশ কিন্তুু পৃথিবীতে অনেক দেশে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঋুতু পরিবর্তন আসে, কখন ঠাণ্ডা কখন গরম, আর আমাদের দেশে ৬ঋুতু হলেও ২সময়ে মানুষের বেশি অসুক হযে থাকে। বিশেষ করে শীতকালে সকল বয়ষের মানুষের একটা প্রধান সমস্যা হচ্চে ঠাণ্ডা জনিত রোগ।
শীতকালের এই সময় শিশু সহ সকল বয়ষের মানুষের পাশাপাশি গর্ভবতি মায়েদের ঠাণ্ডা সমস্যা টা দেখা দেই,আমরা অনেকেই যানি ঠাণ্ডার একটা পরিচিত ঔষধ মোনাস ১০।
আর এই মোনাস ১০ গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবে।
মোনাস ১০কি ধরনের ঔষধ
মোনাস ১০ ( Monas10) সাধারণত মন্টেলুকাস্ট(Montelukast)নামে একটি অ্যালার্জি প্রতিরোধক ওষধ,যা মৃলত হাঁপানি ও অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
গর্ভাবস্থায় মোনাস১০ সেবন করা যাবে কিনা তা নির্ভর করে আপনার শারিরিক অবস্থা এবং সেবনের কারনের ওপর।মোনাস ১০মৃলত মোনাস ১০ জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এটি শাসনালির প্রদাহ কমায়,যা শাসপ্রসাসকে সহজ করে।তবে গর্ভাবস্থায় মোনাস ১০ এটি ব্যবহার নিয়ে কিছু সতর্কতা আছে।
মোনাস ১০ গর্ভাবস্থায় ব্যবহার সম্পর্কিত কিছু তথ্য
মন্টেলুকাস্ট (মোনাস ১০)গর্ভাবস্থায় FDAকতৃক "catagoryB" হিসাবে শ্রেণিবভুক্ত, যার অর্থ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সটিকভাবে নিয়নএিত গবেষণায় বড় কোনো ঝুকির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।তবে এটি তখনই ব্যবহার করা উচিত যখন গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকারিতা ঝুকির চেয়ে বেশি।
গর্ভাবস্থায় মোনাস ১০সেবনের পরামর্শ
১.ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া এরিয়ে চলুন:
গর্ভাবস্থায় সাধারণত মোনাস ১০এড়ানোই উওম।তবে অ্যালার্জি বা হাঁপানির সমস্যা খুব বেশি থাকলে এবং কা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে ডাক্তার এই ওষধটি দিতে পারেন।
২.গর্ভাবস্থার ট্রাইমেস্টার অনুযায়ী পার্থক্যঃ
প্রথম তিন মাস বা প্রথম ট্রাইমেস্টারে সাধারণত যে কোনো ধরনের ওষুধ সেবনে সর্বোচচ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়,কারন এ সময় ভৃনের প্রধান অঙ্গ -প্রতঙ্গ গঠিত হয়।
দ্বিতীয় ৩য় ট্রাইমেস্টারে গর্ভাবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ওষুধ নিরাপদহতে পারে, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
৩.দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবঃ
কিছুগবেষনায় দেখা গেছে যে,গর্ভাবস্থায় মোনাস১০ ব্যবহারে অল্প কিছু ক্ষেএে ভুনের ওপর খতিকর প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তবে এটি সাধারণত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ
মোনাস ১০ সেবন করার প্রয়োজন হলে
যদি আপনার ঠাণ্ডা লাগার কারনে অ্যালার্জি বেড়ে যায় এবং ডঃ যদি মনে করে মোনাস প্রয়োজন ,তবে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সেবন করা যেতে পাড়ে।
গর্ভাবস্থায় ঠাণ্ডা লাগলে কি করবেন
১ .বিশ্রাম ও পর্যাপ্ত পানি পানঃ বিশ্রাম নেওয়া পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর থেকে ভাইরাস বের হয়ে যেতে পারে।
২. গরম হলে ভাপ নিনঃ গরম পানির ভাপ নিলে নাক বন্ধ বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর হয় এবং এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ।
৩.গর্ভঅবস্থায় নিরাপদ ঔষধঃ অনেক ক্ষেত্রে গর্ভবতী নারীদের জন্য সর্দি কাশি ঔষধ নিরাপদ বলে বিবেচিতি, তবে সেগুলোর ব্যবহার অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে।
৪.লেবু মধু ও আদা ঃ লেবু মধু আদার মিশ্রণ অবশ্যই কাশি থেকে নিরাময় হতে পারে,এবংএটি প্রাকৃতিকভাবে নিরাপদ।
মোনাস ১০ সেবনের নিয়ম ঃ
- মোনাস ১০ সাধারণত দিনে ১ বার সেবনের জন্য নিধারিত হয় ।
- বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি রাতে শোয়ার আগে ব্যবহার করার জন্য বলা হয়, বিশেষ করে হাঁপানি এলার্জি সমস্যা থাকলে একটু রাতে সেবন করলে ভালো কাজ করে।
- মোনাস ১০ খাওয়ার সাথে বা খাওয়ার আগে পরে যেকোন সময় খাওয়া যেতে পারে, এটি আপনার সুবিধার সময় মত খেতে পারেন।
৩.হাঁপানি ও অ্যালার্জি ক্ষেত্রে ব্যবহারের পদ্ধতি
- হাঁপানির জন্য মোনাস ১০ সাধারণত নিয়মিত ব্যবহার হয় এমনকি হাঁপানি সমস্যা না থাকলেও এটি প্রতিরোধমূলক ওষুধ তাই প্রতিদিন সেবন করলে হাঁপানি সমস্যা থেকে সাধারণত রক্ষা পাওয়া যায়।
- অ্যালার্জি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাধারণত এটি খাওয়া যেতে পারে।
- নিজের মতো করে ডোজ পরিবর্তন করবেন না যদি কোন ডোজ বাদ পড়ে যায় পরবর্তীতে দ্বিগুণ করে ডোজ খাবেন না।
- গর্ভাবস্থায় স্তনদান বা দীর্ঘস্থায়ী অসুখ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
মোনাস ১০ব্যবহারে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে যেমন মাথাব্যথা পেটব্যথা ক্লান্তি মনোভাবের পরিবর্তন । যদি এরকম লক্ষণ দেখা যায় তবে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন
যেগুলো নতুন ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে ডোজ সেবনের পরিবর্তন সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
আরনিং টেকি ব্লগে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url